গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সমূহঃ ক) একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।
খ) আবর্তক কৃিষ ঋণ কার্যক্রম।
গ) মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচী।
ঘ) সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী।
ঙ) পলস্নী প্রগতি প্রকল্প।
চ) অপ্রধান শস্য উৎপাদন কর্মসূচী-২।
ছ) আদর্শ গ্রাম কর্মসূচী-২।
জ) গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প।
ঝ) অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্প।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প পটভূ্মি:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার কর্তৃক ঘোষিত "দিন বদলের সনদ" বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারের অগ্রাধিকারভথক্ত নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে দারিদ্র বিমোচন অন্যতম৷ নির্বাচনী ইসতেহার এবং রম্নপকল্প ২০২১ অনুযায়ী ২০১২ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করার লক্ষে ফসল উত্পাদন বৃ িদ্ধ এবং ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার অর্ধকে নামিয়ে আনা সহ “ডিজিটাল বাংলাদেশ“ গড়ার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷ এ অঙ্গীকারের আলোকে বর্তমান সরকার স্থানীয় সম্পদ, সময় ও মানব শক্তি/সক্তবাকে সর্বোত্তম ব্যবহার তথা জীবিকায়নের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ীকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করতে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দেশের প্রতিটি গ্রামে ৬০-১০০ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত গ্রাম সংগঠনকে একটি স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক ইউনিট হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে ‘‘একটি বাড়ি একটি খামার‘‘ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এজন্য প্রকল্পের আওতাধীন সকল সুফলভোগীদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে “উঠানবৈঠক“কে প্রকল্প বাস্তবায়ন তথা তাদের জীবন ব্যবস্থা নির্বাহের নিমিত্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিরত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
বাংলাদেশ হাজার ও গ্রামের সমষ্টি৷ এসব গ্রামের জীব বৈচিত্র এবং ইকোসিস্টেম অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং উত্পাদন সহায়ক৷ উর্বর ভূমি এবং প্রানচাঞ্চল্যে ভরপুর এসব গ্রামে অনেক দরিদ্র মানুষ সহ গ্রামীন পরিশ্রমী মানুষের বসবাস৷ পরিশ্রমী এসব মানুষের মাধ্যমে উর্বর বাংলাদেশের সকল গ্রামে সকল বাড়ীতে খামার সৃষ্টি করে উত্পাদন অনেকগুন বৃ িদ্ধ সম্ভব৷ শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা ও অন্যান্য কারণে নগরায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ নগরায়নের ফলে Absentee land owner দের সংখ্যা
বাড়ছে৷ তাঁ দের ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথ উত্পাদন এবং সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য এবং প্রতি বাড়ীকে খামারে রুপান্তরের জন্য প্রয়োজন গ্রাম সংগঠন ,প্র েয়াজন গ্রামের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সম্পদতথা পুজি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ৷ সঞ্চয় বৃ িদ্ধ এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জনসাধারনের অংশগ্রহণ বৃ িদ্ধ এবং তার ক্রমান্বয়ে টেকসই করার ব্যবস্থা গ্রহণ৷ উপাদনের বিভিন্ন মুখী কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি বিপণন ব্যবস্থা, উৎপাদিত পন্য সংরক্ষণ ও মজুদ করণ সহ সার্বক ব্যবস্থাপনা মাঠ পর্যায়ে সৃষ্টি ও তা টেকসই করার প্রয়াসেই িএকটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে৷
প্রকল্প সার সংক্ষেপ :
প্রকল্পের নাম :- একটি বাড়ি একটি খামার
উদ্যোগী মন্ত্রণালয়/ বিভাগ :- স্থানীয় সারকার , পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় মন্ত্রণালয়৷
বাস্তবায়নীয় সংস্থা :- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ৷
সহযোগী সংস্থা :- জেলা প্রশাসক ( প্রধান সমন্বয়কারী)৷
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড( লিড এজেন্সি)
সমবায় অধিদপ্তর্
জাতিগঠন বিভাগ সুমহ ৷
কর্মসসূচীর মেয়াদ :
জুলাই ২০০৯ হতে‘ ২০১৩ পর্যমত্ম সরকারী অর্থায়নে বাসত্মবায়িত হবে। জুলাই ২০১৩ থেকে জুন/২০১৬ পর্যমত্ম প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় গ্রহণ ও বাসত্মবায়ন শেষে বিআরডিবির ব্যবস্থাধীনে অথবা একটি স্বতন্ত্র পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচী হিসাবে বাসত্মবায়ন অব্যাহত থাকবে।
লক্ষ্য :
“একটি বাড়ি একটি খামার“ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য প্রতিটি পরিবারকে মানব ও অর্থনৈতিক সম্পদের সর্বত্তোম ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই আর্থিক কার্যক্রমের একক হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্য ৪০% থেকে ২০%- এ নামিয়ে আনা৷
সুনির্দষ্ট উদ্দেশ্য সমূহ :-
1| দেশের সকল (৮৫০০০) গ্রামের ৫১ লক্ষ দারিদ্র (অতিদারিদ্র প্রতি গ্রামে ৬০ টি) পরিবারসহ সমিতিভূক্ত সকল পরিবারকে গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।2| ২০১৩ সালের মধ্যে সকল গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে কৃষি, মত্স্যচাষ, পশুপালন ইত্যা িদ কাজের মাধ্যমে একটি কার্যকর ‘‘খামার বাড়ি‘‘ হিসেবে গড়ে তোলা ।
1| ২০১১ সালের মধ্যে প্রতি গ্রাম থেকে ৫ জন করে (কৃষি, পশুপালন, হাঁস-মুরগী পালন, মত্স্যচাষ, বৃক্ষ নার্সারী ও হটিকালচার ট্রেডের প্রতি বিষয়ে একজন) মোট ৪,২৫,০০০/- সদস্যকে জীবিকাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে খামার স্বেচ্ছাসেবী গঠণ করা এবং অন্যান্য বিষয়ে গ্রামকর্মী সৃজন করা৷
2| ২০১২ সালের জুনের মধ্যে ঋণ সহায়তার মাধ্যমে নিজ/সদস্যদের নিয়ে প্রতি গ্রামে ৫ টি করে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত কর্মীদের বাড়ীতে মোট ৪,২৫,০০০ টি প্রদর্শণী খামার গড়ে †তালা৷
3| বর্ণত খামার স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়হতায় আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে সরাসরি িউপকারভোগী অবশিষ্ট ৪৬,৬৭,০০০ পরিবারসহ গ্রামের অন্যান্য পরিবারে অনুরুপ খামার বা জীবিকা ভিত্তিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
4| ২০১৩ সালের মধ্যে অনিবাসী ভূমি মালিকদের ভূমি সহ গ্রামীণ সকল সম্পদের সর্বvত্তম েব্যবহার ও সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করা৷
5| ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্প থেকে গ্রাম সংগঠণের অতিদরিদ্র/দরিদ্র সদস্যদের মাসিক সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমান ক িন্ট্রবিউটরি মাইক্রো সেভিংস প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের ব্য িক্ত সঞ্চয় বছরে নূন্যতম ৫,০০০/-টাকায় উন্নীত করা যা ২ বছরে ১০ হাজার এবং ৫ বছরে ৪০ হাজার টাকায় উন্নীত হবে৷
6| ব্য িক্ত তহবিলে ক িন্ট্রবিউটরি অর্থর অতিক্তি প্রতিটি সংগঠনকে বছরে তাদের নিজস্ব েসঞ্চয়ের সমপরিমান প্রকল্প থেকে মূলধন সহায়তায়র মাধ্যম্যে দু‘বছরে মোট ৯,০০,০০০/- টাকা গ্রাম সংগঠণ তহবিল গড়ে তোলা৷
7| প্রধান কৃষি ফসলের পাশাপাশি আদা, হলুদ, পিয়াজ, রসুন, জিরা, মসলা,বিভিন্ন ফল এবং অন্যান্য অপ্রধান কৃষি ফসলের উত্পাদন বৃ িদ্ধতে প্রতিটি বাড়ী সংশ্লিষ্ট জমি ব্যবহার করা৷
8| মাছ চাষের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগণের মাধ্যমে Aquatic Culture কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা।
9| উপজেলা পর্যvয়ে বর্তমান সুবিধা (বিআরডিবি/বিএডিসি‘র গোডাউন ) ব্যবহার করে একটি করে সমবায় wভত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ (হিমাগারসহ) ব্যবস্থা গড়ে তোলা৷
10| কৃষিজাত পণ্যের সমবায় ভিত্তিতে মার্কটিং ও প্রক্রিয়াজাত করার বিষয়ে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের েকার্যক্রম গ্রহণ করা।
অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠী
vগ্রামীণ জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী হবে প্রকল্পের মূল ও প্রাথমিক উপকারভোগী৷ গ্রামের অন্যান্য পর্যvয়ের সকল অধিবাসী হবে সেকেন্ডারী উপকারভোগী। প্রকল্পের অধীনে মোট ৮৫,০০০ গ্রামে পরিবারের সংখ্যা নূন্যতম ৫১,০০,০০০ (৮৫,০০০ গ্রাম *৬০ পরিবার=৫১,০০,০০০ পরিবার) অতি দরিদ্র/ দরিদ্র পরিবার৷ প্রত্যক্ষ উপকারভোগী কমপক্ষে ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ( পরিবার প্রতি ০৫ জন সদস্য হিসেবে) অর্থাত্ মোট উপকারভোগী প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ৷ প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকারভোগী বাছাই থেকে শুরু করে সকল পর্যvয়ের কাজ যথাযথভাবে বাসত্মবায়ন করে সকল বাড়ীতে একটি বাড়ী একটি খামার সৃজনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা৷
vবর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে ৩৩ গ্রামের স্থলে ৩৬ টি গ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ প্রতি সমিতিতে উপকারভোগী সদস্য সংখ্যা ৬০জন (অনুন্য ৪০জন মহিলা ও ২০জন পুরুষ)৷ প্রতি উপজেলায় উপকারভোগী সদস্য সংখ্যা ২,১৬০ জন৷
বাস্তবায়ন অগ্রগতি
ক্রমিক নং | কর্মকান্ডের বিবরণ | মোট অগ্রগতি |
০১ | সমিতি গঠণ | ৩৬ টি |
০২ | সদস্য ভর্তি | ২১৬০ জন (পরিবার) |
০৩ | সঞ্চয় আমানত | ৬০.০০ লক্ষ টাকা |
০৪ | সম্পদ হস্তান্তর (গাভী,হাঁস-মুরহগী,সবজী বীজ,গাছেরচারা ও টিন) | ২৮.০০ লক্ষ টাকা |
০৫ | ঋণ তহবিল বরাদ্দ | ১০৩.৫৭ লক্ষ টাকা |
০৬ | সঞ্চয়ের উপর বোনাস (৩৬িট সিমিত) | ৫৯.২৯ লক্ষ টাকা |
০৬ | প্রশিক্ষণ (বৃত্তিমূলক) | ৩৪০ জন |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস